Just In
Don't Miss
মারের ভয়ে আস্ত মোবাইল ফোন গিলে ফেললেন প্রেসিডেন্সি জেলের বন্দী!
ছিনতাই, ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় বছরখানেক ধরে জেলে বিচারাধীন বন্দী হিসেবে রয়েছেন রামচন্দ্র বোগাপ্পা নামে এক ব্যক্তি। চোখের নিমেষে সে গিলে ফেললো আস্ত একটা মোবাইল ফোন! তল্লাশির হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে এই কাজ করেছে সে। পরে হাসপাতালে এক্স-রে করে ধরা পড়ে পাকস্থলিতে রয়েছে ছোট্ট চাইনিজ মোবাইল ফোনটি। সোমবার দুপুরে ভারতের কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে তল্লাশিতে গিয়ে দেখেও মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাননি টিমের সদস্যরা।
প্রেসিডেন্সি জেলে বিচারাধীন বন্দি রামচন্দ্র ভ মেটিয়াবুরুজের কাছে নাদিয়াল থানা এলাকার বাসিন্দা। বছর খানেক আগে ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার হন। সোমবার, জেল কর্মীরা খবর পান, তিনি জেলের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। জেল কর্মীরা পাকড়াও করতে গেল ফোনটি লুকনোর চেষ্টা করেন ওই বন্দি। কিন্তু, লুকোবেন কোথায়? অগত্যা তিন ইঞ্চি লম্বা চাইনিজ ফোনটি তিনি গিলেই ফেলেন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সোমবার দুপুরে আচমকাই জেলের অভ্যন্তরে তল্লাশি শুরু হয়। তল্লাশি টিমের সদস্যেরা গোটা জেল, ওয়ার্ড ঘুরে পরীক্ষা করছিলেন। সে সময় টিমের এক সদস্যের নজরে আসে এক বন্দী ওয়ার্ডের কোণায় লুকিয়ে কানের কাছে হাত নিয়ে কথা বলছে। হাতের মুঠোর মধ্যে মোবাইল ফোনের মতো ছোট আকারের বস্তু। টিমের সদস্যরা সেদিকে এগোতেই পালানোর চেষ্টা করে রামচন্দ্র নামে ওই বন্দি। কিছুটা গিয়ে হাতের মধ্যে থাকা মোবাইল ফোন আস্ত গিলে ফেলে সে।
রামচন্দ্রকে ছিনতাই, ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। প্রায় বছরখানেক জেলে বিচারাধীন বন্দী হিসেবে রয়েছে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা রামচন্দ্র। একাধিকবার জেলের ভেতর মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগ পেলেও তার ওয়ার্ডে গিয়ে কোনও কিছুর হদিস মেলেনি। এদিন তল্লাশি টিমের নজরে পড়ে যায় রামচন্দ্র। তল্লাশি চালিয়েও শরীরের কোনো অংশ থেকেই মোবাইল ফোনের খোঁজ মেলেনি। শেষে বাধ্য হয়ে ছেড়ে দিতে হয় রামচন্দ্রকে।
বিকালের দিকে হঠাৎই তীব্র পেটের যন্ত্রণা শুরু হয় রামচন্দ্রের। তাকে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক্স-রে করে ধরা পড়ে যে মোবাইল ফোনটি পাকস্থলির নিচের অংশে আটকে রয়েছে। ঘণ্টাখানেক পর্যবেক্ষণে রেখে সন্ধ্যায় জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
-
92,999
-
17,999
-
39,999
-
29,400
-
38,990
-
29,999
-
16,999
-
23,999
-
18,170
-
21,900
-
14,999
-
17,999
-
42,099
-
16,999
-
23,999
-
29,495
-
18,580
-
64,900
-
34,980
-
45,900
-
17,999
-
54,153
-
7,000
-
13,999
-
38,999
-
29,999
-
20,599
-
43,250
-
32,440
-
16,190