Just In
ফেক মেসেজ থেকে সতর্ক থাকুন ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা
ফেসবুক মেসেঞ্জারে আসা ফেক মেসেজ নিয়ে সতর্ক থাকুন গ্রাহকরা।
সাইবার অ্যাটাকের নানান ঝামেলা রোজকারের। এরমধ্যেই ফেসবুক মেসেঞ্জারও এখন নিরাপদ নয়। নানান ম্যালওয়্যার লিঙ্ক এখন মেসেঞ্জারেও।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, বিপজ্জনক লিঙ্ক গ্রাহকদের মধ্যে ছড়ানোর জন্য এখন ফেসবুক মেসেঞ্জারের ব্যবহার করছে সাইবার ক্রিমিনালরা। এর পর সেখান থেকে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলির ফেক ভার্সানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের। ফলে ক্লিক থেকে বেশ কিছু টাকা কামিয়ে নিচ্ছে ক্রিমিনালরা।
ক্যাসপারস্কাই ল্যাবের সিনিয়ার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডেভিড জ্যাকোবির মতে, এই ধরণের ম্যালওয়্যার মূলত ফেসবুক মেসেঞ্জারের মধ্যে দিয়েই ছড়াচ্ছে। যাতে ট্র্যাক করা না যায়, সেই কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে অজস্র ডোমেন। ক্লিক থেকেই পয়সা কামাচ্ছে অপরাধীরা। এদের কোড বেশ উন্নত।
এছাড়াও এই ধরণের ম্যালওয়্যার লিঙ্ক, প্রথমে আপনার পরিচিত কারওর মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে সেখান থেকে কিছু তথ্য নিয়ে আপনার কাছে আসছে। ফলে আচমকা তা ঠিক না ভুল না দেখেই ক্লিক করে ফেলেন গ্রাহকরা।
তাছাড়া জানাশোনা কারওর প্রোফাইল হ্যাক করে এই মেসেঞ্জার যেহেতু আসছে, তাই সহজে একে এড়ানোও যায় না। তাই ক্লিকের পর ক্লিক করতে থাকেন গ্রাহকরা।
এই ধরণের ঘটনায় গ্রাহকদের মেসেঞ্জারে পরিচিতর নাম দিয়ে তার পাশে লেখা থাকে ভিডিও। আর থাকে একটা ইমোজি ফেস। নীচেই থাকে ওয়েবসাইটের লিঙ্ক।
ওই লিঙ্কে ক্লিক করলেই তা চলে যাচ্ছে গুগল ডক-এ। হ্যাকড হওয়া গ্রাহকের ব্লার করা ফটোর সঙ্গে থাকছে একটা ভিডিও। কিন্তু ওই ভিডিওতে ক্লিক করলেই হ্যাকড হওয়া গ্রাহকের কাছে ফের রিডিরেক্ট হয়ে যায় ওই ম্যালওয়্যার। অন্য একটি ব্রাউজার খুলে যায় তাতে।
জ্যাকোবে জানাচ্ছেন, এই ভাবে সাধারণত আপনার ব্রাউজারটিকে একগাদা ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, আপনার কুকি, অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করে আপনাকে কিছু অ্যাড দেখায় এবং পর পর কিছু লিঙ্কে ক্লিক করায়।
যেমন ফায়ারফক্স ব্রাউজার আপনা আপনিই কোনও ওয়েবসাইটে চলে যায়। হয়ত সেখানে গেলে ফেক কোনও নকল আপডেট নোটিশ ফ্ল্যাশ করতে দেখা যাবে। আর তারপর সাইটগুলোর ঝোঁক থাকে অ্যাডওয়্যার ডাউনলোড করানোর দিকে।
গুগল ক্রোম আবার ইউটিউবের মতো দেখতে একটা সাইটে চলে যায়। তাতে আবার ইউটিউবের লোগে লাগানো থাকে। সেখানে গেলে গুগল স্টোর থেকে গুগল ক্রোমের এক্সটেনশন ডাউনলোড করাতে চাওয়া হয়। আর সাফারি ব্যবহারকারীদের কথা যজদি বলা যায়, তাহলে তা ম্যাক ওএস-এর জন্য একইরকম লিঙ্কে চলে যায়। .dmg ফাইল ডাউনলোডের চেষ্টা চলে সাফারি ব্যবহারকারীদের জন্য।
একই পিসিতে দুটি মনিটর ব্যবহারের উপায়
কেন এই ধরণের কাজ চালানো হচ্ছে, সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে মূল টার্গেট ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা।
জ্যাকোবের দাবি, যারা এর পেছনে আছে, নিঃসন্দেহে তারা প্রচুর টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। আর প্রচুর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চলে যাচ্ছে তাদের হাতের মুঠোয়।
এক্ষেত্রে সতর্কতা হিসেবে বলা যায় shortened URL links দেখলেই সতর্ক হোন। এই ধরণের লিঙ্ক এলেই দুমদাম ক্লিক করে ফেলবেন না, তা সে যার কাছ থেকেই আসুক না কেন।
এই পরিস্থিতিতে ZDNet-এ ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই ধরণের ক্ষতিকর লিঙ্ক আটকাতে প্রচুর অটোমেডেট সিস্টেম কাজ করে চলে। যদি আমাদের কখনও মনে হয় আপনার কম্পিউটার ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাস এফেক্টেড, তাহলে আমরা সাধারণত ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে থাকি। এই ধরণের ক্ষতিকর লিঙ্ক থেকে বাঁচবার টিপসও ফেসবুকের তরফে মাঝেমধ্যেই দেওয়া হয়ে থাকে।
-
54,999
-
36,599
-
39,999
-
38,990
-
1,29,900
-
79,990
-
38,900
-
18,999
-
19,300
-
69,999
-
79,900
-
1,09,999
-
1,19,900
-
21,999
-
1,29,900
-
12,999
-
44,999
-
15,999
-
7,332
-
17,091
-
29,999
-
7,999
-
8,999
-
45,835
-
77,935
-
48,030
-
29,616
-
57,999
-
12,670
-
79,470