এসি কেনার আগে জেনে নিন জরুরি তথ্যগুলি

By Gizbot Bureau
|

গ্রীষ্মকাল তার দাপট দেখাচ্ছে পুরোদমে। দুপুরে ঘরের বাইরে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর এই অবস্থা যা কয়েক মাস চলবে তা আমাদের সবারই জানা। তাই হয়তো গরম থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে এসি লাগানোর কথা ভাবছেন অনেক দিন ধরেই। কিন্তু কেনার সময় এতো কোম্পানির আলাদা মডেল দেখে বুঝে উঠতে পারছেন না কোন মডেল কেনা উচিৎ আপনার। এসি কেনার আগে দেখে নিন এই প্রতিবেদন।

এসি কেনার আগে জেনে নিন জরুরি তথ্যগুলি

স্প্লিট এসি নাকি উইন্ডো এসি?

এসি কেনার আগে প্রথম প্রশ্ন যেটি মাথায় আসে তা হল স্প্লিট এসি নাকি ইউন্ডো? ইউন্ডো এসিতে বন্ধ হয়ে যাবে আপনার একটি জানলা। আর এসি বন্ধ থাকলে ঘরে আলো ঢোকার সম্ভবনা কমে যাবে। অন্যদিকে স্প্লিট এসি তে কম্প্রেশারটি থাকবে ঘরের বাইরে। তাই ঘরের দেওয়ালে যে কোন যায়গাতে ঝুলিয়ে দেওয়া যাবে এই এসি। কিন্তু মাথায় রাখবেন কম্প্রেশারের সাথে কানেকশানের জন্য গর্ত করতে হবে পারে দেওয়ালে। এছাড়াও যেহেতু স্প্লিট এসিতে কমপ্রেশারটি ঘরের বাইরে থাকে তাই আওয়াজ অনেক কম হয় স্প্লিট এসি তে। যদিও দামের দিক থেকে উইন্ডো এসির দাম স্প্লিট এসির থেকে খানিকটা কম।

ইনভার্টার এসি কি?

গত কয়েক বছর ধরে ইনভার্টার এসি জনপ্রিয় হয়েছে বাজারে। যদিও এটি কোনভাবেই ইনভার্টার ব্যাটারির মতো নয়। এবং পাওয়ার কাটে আপনাকে কোনভাবেই সাহায্য করবে না এই ইভার্টার এসি।

সাধারণ এসিতে কমপ্রেশারটি শুধুমাত্র ফুল ক্যাপাসিটিতেই চলতে পারে। ফলে ঘর প্রয়োজনের মতো ঠান্ডা হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় কমপ্রেশার। ঘর আবার গরম হতে শুরু করলে আবার ফুল ক্যাপাসিটিতে চালু হয় কমপ্রেশার। কিন্তু ইনভার্টার এসিতে কমপ্রেশারের ক্যাপাসিটি কম বা বেশি হয় প্রয়োজন মতো। তাই ইনভার্টার এসির কমপ্রেশার সবসময় প্রয়োজন মতো ক্যাপাসিটিতে কমে গিয়ে চলতে থাকে ও ঘরকে ঠান্ডা রাখে। যেহেতু এই এসির কমপ্রেশার কম ক্যাপাসিটিতেও চলতে পারে তাই সাধারণ এসির থেকে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এই এসি তে।

কোম্পানিগুলি দাবি করে ইনভার্টার এসি ব্যাহহার করলে সাধারণ এসির থেকে আপনি প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন। যদিও সাধারনভাবে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম খরচ হয় ইনভার্টার এসি তে।

BEE স্টার রেটিং

এসি কেনার আগে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার BEE স্টার রেটিং। কোন ইলেকট্রিকাল ডিভাইস কতো বিদ্যুত ব্যাবহার করে তা বিচার হয় এই BEE স্টার রেটিং দিয়ে।

১ স্টার ডিভাইস এক বছরে ব্যাবহার করে ৮৪৩ ইউনিট অন্যদিকে ৫ স্টার ডিভাইস ব্যাবহার করে ৫৫৪ ইউনিট। দিল্লিতে একটি ১ স্টার এসির মাসিক খরচ প্রায় ৩,৮০০ টাকা অন্যদিকে একটি ৫ স্টার এসির জন্য দিল্লিতে বিদ্যৎ খরচ হয় প্রায় ২,৫০০ টাকা। এই তথ্য BEE রেটিং বোঝার জন্য খুবই উপযোগী। তবে এখানে মাথায় রাখা প্রয়োজন স্টার রেটিং ক্রমশ বদলাতে থাকে। ২০১৬ সালে যে এসিটি ৫ স্টার ছিল এখন ২০১৮ সালে তা একটি ৩ স্টার এসি।

এসির ক্ষমতা

এছাড়াও শেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই এসির ক্যাপাসিটি। বাজারে ১ টন থেকে ২ টন পর্যন্ত এসি কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু এটি কোনভাবেই এসির ওজনকে বোঝায় না। এই ওজন বোঝায় কোন এসি এক ঘন্টায় কতটা তাপ ঘর থেকে বার করতে পারে। ঘরের আয়তনের উপরেও নির্ভর করে এসির ক্ষমতা। ১২০ স্কোয়ার ফুট ঘরের জন্য ১.২ টন এসি যথেষ্ট। ১২০-১৭৯ স্কোয়ারফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন ১.৫ টন এসি। ১৮০ স্কোয়ার ফুট বা তার বেশি আয়তনের ঘরের জন্য প্রয়োজন ২টন ক্ষমতার এসি। যদিও আপনার ঘরের তাপমাত্রা ও কোন ফ্লোরে আপনার ঘর রয়েছে তার উপরের নির্ভর করে এসির ক্যাপাসিটি।

Best Mobiles in India

Read more about:
English summary
The most important factor one should consider is the capacity of the AC based upon the size of the room you are going to fit in.

Best Phones

চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Yes No
Settings X
X