Just In
রোজকার যোগাযোগ বাড়াতে, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুলছে পুলিশ স্টেশনগুলি
সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর সমাজের নির্ভরতা ক্রমশই বাড়ছে। ভালই হোক বা মন্দ, হচ্ছে দুটোই। কিন্তু হচ্ছে। আর এই হওয়ার মধ্যেই আমাদের ভাবনাচিন্তা, যোগাযোগেও আসছে পরিবর্তন।
আর এই সব বিষয় মাথায় রেখেই তেলাঙ্গানার সমস্ত পুলিশ স্টেশনে এবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর জোর দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে রোজকার যোগাযোগ বাড়াতে ফেসবুক আর ট্যুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলছে তারা। ডিজিপি এম মহেন্দর রেড্ডি বলেন, তেলাঙ্গানাকে আরও সুরক্ষিত করতে, মানুষের সঙ্গে আরও যোগাযোগ বাড়াতে চাইছেন তারা। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
তেলাঙ্গানায় কমপক্ষে ৮০০টি থানা রয়েছে। আপাতত হায়দরাবাদে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে সবকটি এলাকাতেই এরকম উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এছাড়াও প্রত্যেক পুলিশ স্টেশনে থাকছে রিশেপসন ডেস্ক। অভিযোগ জানানোর জায়গা। থার্ড পার্টি কল সেন্টারেও সাধারণ মানুষ ফিডব্যাক দিতে পারবেন। প্রত্যেকটা পুলিশ স্টেশনে থাকবে, সিটিজেন স্যাটিসফেকশন রেটিং। সুতরাং পুলিশ স্টেশনেও রেটিং-এর ব্যবস্থা থাকবে। যা দেবেন সাধারণ মানুষ।
ডিজিপি সাহেব জানালেন, ২০১৮ সালটাতে পুলিশকে আরেকটু টেক সেভি করে তোলা হবে। আটটি লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পরিষেবা আরও ভাল করা, জরুরি ভিত্তিতে কোনও অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, সংগঠন হিসেবে শক্তপোক্ত হওয়া এবং নিজেদের পাল্টানো আরেকটু, ওয়ার্কফোর্স ম্যানেজমেন্ট আরও ঠিকঠাক করা, টেকস্যাভি হওয়া, বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ানো, রোড সেফটিতে গুরুত্ব, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, শহরকে আরও নিরাপদ করে তোলা।
ফেসবুকে থাকতে গেলেও লাগতে পারে আধার কার্ড!
পুলিশ প্রধানের মত, শহরের উন্নয়নের ভিত্তি হল শান্তি। তার জেরেই বিনিয়োগ আসবে, পরিকাঠামো উন্নত হবে। সে কারণেই ৬০ হাজার পুলিশ ফোর্স প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে আরও সক্রিয় হবে। কিছু নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদ, সাইবেরাবাদ, রাচাকোন্ডা এলাকায়। সেগুলোকে মডেল ধরে এগোনো হবে।
বিশ্বমানের পুলিশ ব্যবস্থার জন্য তাই আনা হয়েছে HYDCOP অ্যাপ। গোটা রাজ্যেই এই বিষয়টি আনা হবে। আর তার নাম হবে TSCOP। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। একইরকম ভাবে HawkEye অ্যাপটি থাকছে প্রত্যেক নাগরিকদের জন্য। সিটিজেন পুলিশ হয়ে উঠতে পারবেন প্রত্যেকেই। এটাও থাকবে রাজ্যের সবখানে।
এছাড়াও কমিউনিটি সিসিটিভি প্রজেক্ট তো রয়েইছে। ৩০টি জেলাতে থাকবে এই প্রকল্প। প্রত্যেকটা জেলা পুলিশ হেডকোয়ার্টার এবং কমিশনারেটে মিনি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার খোলা হবে। এদের প্রত্যেকটির মাথায় থাকবে হায়দরাবাদে স্টেট কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার।
ডিজিপি আরও বলেন, এটা ঠিক সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছুও পোস্ট হয়, যা ঝামেলা পাকানোর জন্য যথেষ্ট। সে কারণেই থাকছে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল। অবশ্যই সেই সেলে সাধারণ মানুষেরও অংশগ্রহণ থাকবে। প্রত্যেক জেলায় থাকবে সোশ্যাল মিডিয়া ল্যাব। কারণ ২০১৭ সালেই রাজ্যে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ। তাই সব জায়গায় সাইবার ক্রাইম সেলও থাকছে।
হায়দরাবাদে থাকছে ইনভেস্টিগেটিং সাপোর্ট সেন্টার। নলেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে তদন্তকারী অফিসারদের সাহায্য করবে এটি। চব্বিশ ঘণ্টা এখানে কাজ করবেন আইন, ফরেন্সিক ও মেডিক্যাল এক্সপার্টরা। এছাড়াও তৈরি হবে কমিউনিটি পুলিশিং সাপোর্ট সেন্টার। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ বাড়াতে কাজ করবে এটি।
-
54,999
-
36,599
-
39,999
-
38,990
-
1,29,900
-
79,990
-
38,900
-
18,999
-
19,300
-
69,999
-
79,900
-
1,09,999
-
1,19,900
-
21,999
-
1,29,900
-
12,999
-
44,999
-
15,999
-
7,332
-
17,091
-
29,999
-
7,999
-
8,999
-
45,835
-
77,935
-
48,030
-
29,616
-
57,999
-
12,670
-
79,470